Home » » আমার মানালি ভ্রমণ

আমার মানালি ভ্রমণ

Written By Ilena on Monday, 15 August 2022 | 06:50

আমরা মানালিতেই যাব- এটা আগের থেকেই ঠিক করা ছিল। "উঠলো বাই তো কটক যাই" জাতীয় ভাবনা এখানে কাজ করেনি। কিন্তু যতই দিন এগিয়ে আসছিল ততই কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছিল মনে। প্রথমত, আমরা মানালি - যাব শিমলা যাবনা, তা কি হয়? আমরা তো বিভিন্ন রকম প্যাকেজ ট্যুর এর মাধ্যমে সাংলা, চিতকুল, ডালহৌসি, ধরমশালা, কাজিয়ার, অমৃতসর- এরকম আরো কিছু জায়গাও দেখে আসতে পারি। এটা না করা কি বোকামো? তাছাড়া সড়কপথে না উড়ানে?
 কিন্তু আমাদের হাতের সময় কম থাকায় সব রকমের দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে ভারত সরকার স্বীকৃত BS TOUR PLANER এর অভিভাবকত্ত্বে এবং  সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত হাওড়া- বিকানীর দুরন্ত এক্সপ্রেসে দিল্লি হয়ে পূর্ব নির্ধারিত গন্তব্যেই আমরা পৌঁছালাম। 'আমরা'- মানে আমি আর আমার দুহিতা। দুরন্তের অভ্যর্থনা ফাটাফাটি। সুসজ্জিত বেশভূষা। স্মিতহস্য। জল দিয়ে আপ্পায়ন ও 'মধুর' ভাবের। ঝাল মুড়ির প্যাকেটের সঙ্গে দিলেন দুগ্ধফ্যাননিভ সুস্বাদু এক টুকরো শণপাপড়ি। শোনপাপড়ির সঙ্গে যে জুস টা দেওয়ার কথা ছিল সেটা তারা দিলেন চায়ের সঙ্গে। মেয়ের চোখের ভাষায় মৃদু প্রতিবার তাদের দৃষ্টি এরায়নি। ভুল তারা শুধরে নিলেন চায়ের বদলে কফি দিয়ে। তাছাড়া 'দুরন্ত' তার নামের মর্যাদা রেখেছে, দুর্দান্ত গতিবেগে যথাসময়ে পরের দিন সকাল ১০ঃ৩৫ নাগাদ দিল্লি পৌঁছে দিয়েছে। অভিযোগ মিটিয়ে নেওয়ার এই পদ্ধতিতে যদি রোমাঞ্চ হিসেবে ধরি তাহলে দুরন্তের রেটিং এ পাঁচে পাঁচ দেওয়াই যায়।
 দিল্লি স্টেশনে নেমেই আমরা গেলাম অটোতে করে আগের থেকেই বুক করা হোটেল শিবা ইন্টারকন্টিনেন্ট এ। সেখানে হোটেল মালিক জিতেন্দ্রর ভাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন - আমাদের বরণ করে নিলেন স্বাগত সংবর্ধনায়। একটু ফ্রেশ হওয়ার পর বুঝতে পারলাম মানালি যাওয়ার বাসে ওঠার আগে আমাদের হাতে ৫ ঘন্টা সময় রয়েছে। PLANER- এর এই টাইম ম্যানেজমেন্টের জ্ঞান মেয়েকে যথেষ্ট উদ্দীপ্ত করল। ফলস্বরূপ বায়না: 'চলোনা বাবু এই ফাঁকে দিল্লির শহর টা একটু ঘুরে আসি।' বায়না না আদেশ- হিসেব করিনি। তবে মানালি যাবার পথে এই দিল্লি ভ্রমণের সুযোগ মনে হলো উপরি পাওনা। জিতেন্দর ভাই আমাদের লাঞ্চ করালেন। দিল্লির অন্যতম নামকরা 'চুর চুর নান'। পুরনো জিভে নতুন স্বাদ গ্রহণের আনন্দ-প্রকাশ করার অপেক্ষায় রাখে না। আমরা টোটো করে বেরিয়ে পড়লাম রাজধানী দর্শনে। রাতে 'ইন্ডিয়া গেট' দেখা, সে তো এক অনন্য অভিজ্ঞতা- সকলেরই জানা। দিনের আলোতে সেটা আমরা এক পলক দেখে চলে গেলাম লাল কেল্লা। যেহেতু আমরা আগেই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে পরামর্শ মত টিকিট কেটে রেখেছিলাম, তাই সেখানে ঢোকার জন্য টিকিট কাটার দীর্ঘ লাইনে আমাদের দাঁড়াতে হয়নি। কিন্তু লালকেল্লা তো শুধুই লালকেললা নয় - যেন ইতিহাসের পৃষ্ঠা। দু চোখ ভরে দেখলাম লাহোরি গেট, দিল্লি গেট, মিনা বাজার, ছাত্তা চক,নহবত খানা, দেওয়ান-ই-আম, দেওয়ান - ই -খাস, রংমহল, খাস মহল, বাউলী, মতি মসজিদ, হিরা মহল। ইতিহাস আর স্থাপত্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দিল্লি।আমাদের ভারতবর্ষের রাজধানী দিল্লি। 'কিন্তু'....একটা কিন্তু তো থেকেই যায়। একে তো সন্ধ্যে নামতে দেরি আছে, তাই আবার ট্রাফিক জ্যাম আর মাত্রাতিরিক্ত দূষণ আপনাকে দিশাহীন করে ছাড়বেই। ফুসফুস সংক্রমণ তো হলো বলে। শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অপরিকল্পিত বছর সব মিলিয়ে আমার মনে পড়ে  Freedom at Midnight এর কথা। মেয়ের মনে পড়ে City of Joy এর কথা। একইসঙ্গে আমাদের দুজনের একটু গর্বিত মুগ্ধতা আবার একটু বিষন্নতা।
 কিন্তু আমাদের গন্তব্য মানালি। মামুনের সতর্ক সংকেতে আমরা চলে এলাম কাশ্মীরি গেটে - এখান থেকে মানালি যাবার বাস ছাড়বে। পেছনে পড়ে রইলো রাজধানী শহর দিল্লি আর মুঘল হেরেমের অন্তরালের কাহিনী সূত্র।
 এসি ভলভো সেমি স্লিপার বাসে উঠেছিলাম যখন তখন আমরা দুজনেই খরতাপে ক্লিষ্ট। তার মধ্যেই চোখে পড়ল প্রতিটি সিটেই সুদৃশ্য কম্বল রাখা। ওটা দেখেই গরম আরো বেশি গায়ে লাগছিল। পরে বুঝতে পারছিলাম এই পথের শীতবস্ত্রের প্রয়োজন কতটা। ক্রমশ সৈত্রের আলিঙ্গনা বদ্ধ হয়ে উত্তরপ্রদেশ আর হরিয়ানার ওপর দিয়ে ওভারনাইট বাস জার্নি করে পরদিন সকাল ন'টা নাগাদ পৌঁছে গেলাম মানালিতে।
 এই সেই মানালি। শুনেছি 'সপ্ত ঋষির আবাসস্থল', 'দেব উপত্যকা' মানালি। রাক্ষস নামে প্রচুর মানুষ ছিল এখানে,'মৎস্য অবতারের' অবতার কাহিনীর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই মানালিতে। পড়েছিলাম প্রথম মানব সন্তান মনুর নামানুসারে এই মানালি নাম।
 মন সর্বাপেক্ষা দ্রুতগামী। এ কথা সবাই জানে। কিন্তু মনের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারতামই না যদি না ওভারনাইট বাস জার্নি করতাম এবং নামার সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যেতাম 'বেরি সিং'কে। তারপর চলে এলাম হিমাচল ট্যুরিজমের নিজস্ব হোটেল কুঞ্জম এ। এই না হলে Tour Planer!
 হোটেলে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে একটু খাওয়া দাওয়া করে সাইট সিইং -এ বেরোলাম। প্রথমেই মল রোড,শান বাঁধানো সড়ক। সড়কের দুপাশে বিভিন্ন রকম পসরা সাজিয়ে বসেছেন স্থানীয় নানা সম্প্রদায়ের পাহাড়ি ব্যবসায়ীরা। কিছু কেনাকাটা করতে গিয়ে হঠাৎ করে আকাশ দেখতে গেলেই দেখা যায় পাহাড়। পাশেই ছিল 'বনবিতান'- ঘুরে এলাম। বিশেষ কিছু নেই সেখানে।আমাদের প্রথম দিন চলছে। এবার গন্তব্য ধুঙগিরি দেবীর মন্দির মানে হিড়িম্বা দেবীর মন্দির, মানে রাক্ষসী হিড়িম্বা। ভীমের পত্নী হিড়িম্বা। মন্দিরে মাটি থেকে উঠে আসা একটা শিলাখণ্ড ছাড়া বিশেষ কিছু নেই। আমাদের যেমন দুর্গাপূজা,নবরাত্রি, মানালিবাসীদের কাছে তেমনি ধুঙগিরি পুজো। আশেপাশের সারিসারি পাইন গাছ মল রোড থেকে তিন কিলোমিটার গাড়িতে এলাম। ১৫৫৩ সালে রাজা বাহাদুর শাহ এর মন্দিরটি নির্মাণ করেন। তারপর আমরা গেলাম ঘটৎকোচ মন্দিরে। মন্দির বলতে একটি গাছ গাছটি এত উঁচু জিনিস থেকে তার শীর্ষ দেখা যায় না। কথিত আছে মহাভারতের যুগ থেকেই এই গাছটি বর্তমান। গাছের গোড়ায় টিনের তৈরি অস্ত্রশস্ত্র পুজোর সরঞ্জাম হিসেবে বাধা। স্থানীয় ভাষা 'মহাসু পাহাড়ি'। স্থানীয় লোকেদের সাথে কথাবার্তা বলে মনে হলো কারুকার্যহীন এই মন্দিরে কোন বিগ্রহ নেই বটে তবে আছে কেবল মন্দির ঘিরে পৌরাণিক গাথা আর অন্তহীন বিশ্বাস। এবার এলাম আমরা HPTDC পরিচালিত ক্লাব হাউসে। বিয়াস নদীর শাখা মানাল শুটকিরে অবস্থিত এই ক্লাব হাউস। আমার দৃষ্টিতে ৮ থেকে ৮০ পর্যন্ত সকলেরই মিলনস্থল এটা। ইংরেজ স্থাপত্যশৈলী কিন্তু সকলের উপযোগী খেলাধুলো, কেনাকাটা,অ্যাডভেঞ্চার, খাওয়া-দাওয়া বই পড়া সব কিছুরই সুযোগ সুবিধা আছে এখানে। মামনি এগিয়ে গেল জিপ লাইনিং করতে। তার চোখে মুখে সফল অ্যাডভেঞ্চারের পুলক। আমার মনে অজানা আশঙ্কা। কিন্তু আমি আনন্দিত। আনন্দময় অভিযাত্রীদের এই স্বর্গ ছেড়ে চলে এলাম ভাব গম্ভীর পরিবেশ- বৈশিষ্টকুণ্ডে। প্রায় চার হাজার বছর আগে এই বৈশিষ্ট্য মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। মহামনি বশিষ্ঠের একটি বিগ্রহ আছে এখানে। এটি তার সাধনার স্থল। তদ্গত চিত্তে প্রণাম সেরে নেই। দাঁড়িয়ে প্রার্থনারতা মামনিকে ডেকে বলি, 'চলো এবার কুঞ্জমে'।
 যাবার পথে নামল বৃষ্টি। সাদা সবুজ মেশানো উপত্যকা বৃষ্টিতে ধূসর। অদ্ভুত আমেজ নিয়ে বৃষ্টিভেজা অবস্থায় আমরা এলাম। রুমের জানালা খুলে দিলাম। সন্ধ্যা নাবতে একটু দেরী আছে।হিমেল হাওয়া ডুকছে ঘরে। জানালা দিয়ে দেখছি অনতি দূরে পাহাড়ের 'পরে 'মেঘের পরে মেঘ জমেছে'। ঝর ঝর করে নামছে বৃষ্টি। বিরহ কাতর যক্ষের কথা মনে পড়লো হঠাৎ। মামনির চোখে অবাক বিস্ময়। ক্রমশ গভীর হলো রাত।এখানকার হিসাবে ওখানে সবে সন্ধ্যের পর। তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়লাম। BS TOUR PLANER এর পরামর্শ মনে পড়ল: রোটাং পাস যেতে হলে প্রত্যুষ সেরা সময় জ্যাম এভয়েড করে যাওয়ার জন্য।
 সুতরাং পরের দিন অর্থাৎ দ্বিতীয় দিন ভোর বেলায় বেরিয়ে পড়লাম রোটাং পাস জিস্পা এবং অটল টানেল এর উদ্দেশ্যে। রোটাং পাসের গিরিপথ দেখতে যাওয়ার পথে নেহাত ড্রাইভার এর পরামর্শে আমরা জাম্পশুট আর জুতো ভাড়া করেছিলাম। না হলে পুরো বরফে হাঁটতেই পারতাম না। ভিউ পয়েন্টে গাড়ি দাঁড়িয়ে গেল অনেক আঁকাবাঁকা বিপদজনক মোড় ঘুরে। মানালির (৭২১৬ ফুট) চাইতে রোটাং পাস (১২৯৮২) ফুট অনেক উঁচুতে। ড্রাইভার সতর্ক করে দিলেন উচ্চতার কারণে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে, অক্সিজেনের হয় বড় ভয়। আমাদের চোখের সামনে তখন দিগন্ত বিস্তৃত তুষার আচ্ছাদন। অনেককেই স্কি করতে দেখলাম।আমরা আরো খানিকটা উপরে গেলাম। লাঠি ভর করে। মাথার উপর বিস্তীর্ণ আকাশ ফটোগ্রাফার ছবি তুললেন উনারই পরামর্শে লাঠিতে ভর করে বসলাম উনি টেনে আমাদের নিচে নামালেন এটাই বা স্ক্রীর চাইতে কম কিসের? দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো আরকি।
 এবার আমরা আমরা এলাম জিস্পাতে। চন্দ্র এবং ভাগা নদীর সঙ্গমস্থল জিস্পা। নদীর একধারে অনেক তাঁবু খাটানো আছে। যে কেউ ইচ্ছে করলে এই তাবুতে থাকতে পারেন। খরস্রোতা চন্দ্রভাগা দেখুন,নদীর উল্টোদিকে হিমালয়ান রেঞ্জের পাহাড় দেখুন, প্রকৃতির সৌন্দর্যের স্নাত হোন। জিস্পাকে কেন্দ্র করে ঘুরে বেড়ান গোটা উত্তর হিমাচল তবে তাবুতে থাকার মতো সহনশীলতা থাকতে হবে।
জিস্পা পরিক্রমা শেষ করে স্থানীয় খাবার খেয়ে ঢুকলাম অটল টানেলে। আমরা আছি হিমালয়ের পিরপাঞ্জাল রেঞ্জে। আর এই সেই অটল টানেল যা পৃথিবীর মধ্যে দশ হাজার ফিট উচ্চতার ও বেশি একমাত্র সিঙ্গেল টিউব হাইওয়ে। ২৪. ৪ কিলোমিটার রাস্তা যেটা কিনা অতিক্রম করতে লাগতো প্রায় আড়াই ঘণ্টা, সেটা এই ৯.০২ কিলোমিটার লম্বা টানেলের মাধ্যমে অতিক্রম করতে লাগে মাত্র বারো মিনিট। যথেষ্ট গর্বিত মনে হল নিজেদের।
 ফেরার পথে দেহ অবসন্ন, ক্লান্ত কিন্তু চিত্ত উদ্বেলিত হৃদয় তৃষ্ণার্ত। ঘুম ভাঙার পর, পরদিন সকালে বেশ গরম। এখানে বলা যেতেই পারে মানালির কোন হোটেলেই পাখার ব্যবস্থা নেই। হয়তো দরকার হয় না বলেই নেই। হয়তো দরকার হয় না বলেই নেই।হঠাৎ করে এই গরমটা খানিকটা দম বন্ধ করা। অনভিপ্রেত তো বটেই। আমরা একটু কেনাকাটা করে আবার গেলাম হিড়িম্বা মন্দিরে। শুরু হলো প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি। বুঝতে পারলাম এই দুর্যোগেরই সংকেত মিলেছিল কুঞ্জমে খানিকটা গরম হাওয়ায়। এই ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আমরা ফিরে এলাম হোটেলে তাপমাত্রা তখন তিন বা চার ডিগ্রি। এবার আমাদের ঘরে ফেরার পালা কোন কোন হিন্দিভাষীরা বলে মানালিকে 'ধরতী কা স্বর্গ' - আমরা সেই মানালি এবার ছেড়ে দেব।
 আমির খসরু নামে এক ফরাসি কবি লিখেছিলেন কাশ্মীর সম্পর্কে : " আগার ফেরদৌস বারুই জামিন আস্থ / হামিন আস্ত -ও হামিন আস্ত -ও হামিন আস্ত "।- স্বর্গ যদি কোথাও থাকে তবে তা এখানেই, এখানেই, এখানেই। মানালি সম্পর্কে আমার এই মনোভাব পাঠক পাঠিকাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। এই সেই মানালি যেখানে মাটির আকর্ষণ,শ্যামাশ্রী আর  শৈত্যের আলিঙ্গন  ঈশ্বরের কথা মনে করায়। প্রবল আস্তিক্য চেতনায় আচ্ছাতো না হলেও আমি দেখতে পেলাম পুরাণ আর মানালির নারী-পুরুষ মিশে আছে প্রকৃতিতে, প্রকৃতি কথা বলছে। আমি দুহাতে জড়িয়ে ধরতে চাইলাম গোটা মানালিতে। হারিয়ে যেতে চাইলাম মানালিতে। আবার ছুঁতে চাইলাম সংবেদনশিলা বিপাশাকে। কিন্তু.... কিন্তু.....। দেখলাম আমার মামনি দুহাত সত্যি সত্যিই বাড়িয়ে রেখেছে- জল ভরা চোখে।
 বাসে চাপলাম ওভার্নমেন্ট জার্নি প্ল্যান মাফিক রাজধানীতে নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট আসনে বসে পড়লাম। প্রথমাফিক ফিরে এলাম জন্ম ভিটেয়। বিস্ময় বিমগ্ধ মন পড়ে রইল মানালিতে।

0 comments:

Post a Comment