আমরা - মানে আমি আর আমার হাজব্যান্ড। আমি যদি হই ধরিত্রী, তবে সে বনস্পতি। আমার কোন বায়নাই সে অপূর্ণ রাখে না। তাইতো আমাকে নিয়ে এসেছে এখানে। আসার পথে দেখছিলাম দুপাশে সারিসারি আপেল বাগান। মধু চাষ। একটা ভিউ পয়েন্টে যখন গাড়িতে দাঁড়িয়ে পড়ল তখন ৩৬০ ডিগ্রি কোণে কুলু থেকে নাগ্গর পর্যন্ত বিস্তৃত জীবন অরণ্যরেখা, মাথার উপর বিস্তৃত আকাশে ছাই ও ধূসর রঙের মেঘ - দূরে দেখা যাচ্ছিল তুষারাবৃত পর্বত শৃঙ্গ। আবার কয়েক মিনিট পর গাড়ি ছাড়লো। হঠাৎ দেখি উল্টো দিক থেকে আসে একটা গাড়ি জানালা থেকে বেরিয়ে এসেছে এক তরুণীর মুখমন্ডল। গাড়ির জানালা দিয়ে আমিও কিছুটা মুখ বের করে নিলাম। বন্ধ করে নিলাম চোখ। চুলে, ত্বকে খেলে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। দেখতে দেখতে চলে এলাম নাগ্গর ক্যাসেলে।
বিয়াস নদীর উপত্যকায় ১৮৫১ মিটার উচ্চতায় হিমাচল এর উত্তর-পশ্চিম উপত্যকায় কুলু জেলার পূর্বতন ও রাজধানী নাগ্গর।
ক্যাসেলে চেক আউট টাইমের আগেই পৌঁছে যাওয়াতে আমরা বাইরে একটু টিফিন সেরে নিলাম- পাহাড়ি ম্যাগি আর চা। টিফিন চলাকালীন চোখে পড়ল শ্বেতশুভ্র পোশাক পরিহিতা একজন শ্বেতবর্ণা কে। ইনি ব্রিটিশ নন- এটা বুঝতে পারলাম। কিন্তু কোন ভাষার কোন জাতির -এসব প্রশ্ন মনে এলোনা। স্নিগ্ধ হাসি। কোলে একটি ধবধবে সাদা বরফের ফুল নয়, একটি ভেড়ার শাবক। আলাপ করলাম। মহিলার বক্তব্য 10 টাকার বিনিময়ে শাবকটিকে কোলে নিয়ে ছবি তোলা যাবে। ছবি তোলাতে উনি খুশি হলেন। আন্তরিকভাবে পরামর্শ দিলেন কি কি সাধারনতা এখানে অবলম্বন করতে হবে।
তারপর ক্যাসেলের রুমে ঢুকে যে বিষয়টা প্রথমে চোখে পড়লো সেটি হল রুমে কোন পাখা নেই। পাখার খটখটানি ছাড়া 'প্রতিদিন' চলবে? কেমন যেন মনে হল। একটু পরে অবশ্য বুঝতে পারলাম এখানে কোথাও পাখার প্রচলন নেই। প্রয়োজন নেই বলেই। একটু মানিয়ে নিয়ে দুপুর একটানা গাছ বেরিয়ে পড়লাম। ' জনা'র কাছে যাব। ভাবছিলাম 'যেতে যেতে পথে' মাইকেল মধুসূদন এর 'বীরাঙ্গনা', 'পাগলিনী' জনা কি? - না এটা মানালি সভ্যতার আদি গ্রাম। প্রথমেই এলাম জনা ফলসে। ছোট ঝর্ণা। পাশেই জনা স্যাংচুয়ারি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। ফলসের পাশে ছোট ছোট অস্থায়ী দোকান। তাতে গ্রামের বৃদ্ধারা কখনো, কখনো বা যুবতী বধুরা বসে দোকানের পসরা সামলানোর সাথে সাথে নিজেদের অভ্যস্ত হাতে বনে চলেছেন উলের নানা কারুকার্য। দেশ বিদেশ থেকে আসা অচেনা টুরিস্টদের তারা বরণ করে নিচ্ছেন পাহাড়ি অভ্যর্থনায়। কিছু কিনুন বা না কিনুন উষ্ণঅভ্যর্থনা আপনি পাবেনই। অতিথি যে। ভারতীয় সভ্যতায় অতিথি তো দেবতা। আর জনা গ্রামে অতিথি সেবা হবে না-তা কি করে হয়? যাইহোক, টুকটাক কেনাকাটার মধ্যেই টের পেলাম ছুঁচো পেটে ডন মারছে। ঘড়িতে দেখি বিয়াস নদীর স্রোতের টানে সময় বয়ে কখন যেন দুপুর তিনটে হয়ে গেছে। কিন্তু এমন নির্জন পরিবেশে খাবার পাব কোথায়? ইধার আইয়ে দিদি ", অল্প বয়সী একটি পাহাড়ি ছেলের ডাকে তাকিয়ে দেখি একি অবাক কান্ড! জনা ফল্স এর নিচেই আছে চেয়ার টেবিল। হিমশীতল জলে পা ডুবিয়ে সারি সারি পাইনের মাঝে বসে উপভোগ করলাম রাজকীয় ভাবে পরিবেশন করা স্থানীয় খাবার। মাক্কি দি রোটি,সারসো দা শাগ,লালভাত রাজমা,সিদ্দু আর চাটনি। এই স্বাদ অমৃত। নাগরিক খাবারের রোজকার স্বাদের নতুন চমক দিল নাগ্গর।
ওভারনাইট জার্নির ফলে শরীর তখন চাইছে একটু বিশ্রাম। তাই লাঞ্চ শেষ করে তড়িঘড়ি ফিরে এলাম রুমে। বিশ্রাম করে তরতাজা হয়ে গায়ে গলিয়ে নিলাম নতুন পোশাক। ঘড়িতে তখন ছ'টা। তবে আকাশে সূর্যাস্তের লেশমাত্র নেই। হালকা বৃষ্টি পড়ছে। এর মধ্যেই আমরা বেরিয়ে পড়লাম সাইটসিইং এ। নাগ্গর ছোট গ্রাম। তাই ঘুরে দেখার বিশেষ কিছু নেই। তবে যদি শান্তি,নিস্তব্ধতা আর পাহাড়ি সৌন্দর্য ভালোবাসেন তাহলে নাগ্গর আপনাকে দেবে পরিপূর্ণ স্নিগ্ধতা অবিরাম চমক আর অখন্ড নির্জনতা। সে টানেই হয়তো নাগ্গরকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন রুশশিল্পী নিকোলাস রয়েরিখ। স্থায়ীভাবে থেকে গিয়েছিলেন এখানে। তার ছেলে প্রথম দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারপ্রাপ্ত আমাদের চিত্রশিল্পী মহানায়িকা, দেবিকারানির সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এই আর্ট গ্যালারিতে কেবলই পিতা পুত্রের আঁকা ছবি রয়েছে। আমাদের প্রথম দিনের সাইট সিংয়ে দ্বিতীয় ধাপ হল 'যেমন খুশি ভ্রমণ'। ইচ্ছেমতো খানিকক্ষণ উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে একটি স্থানীয় মন্দির দেখে ফিরে এলাম ক্যাসেলে। ঘড়িতে তখন রাত আটটা। অথচ বাইরে সূর্য ঝলমল -দিনের আলো। তবুও আমরা আমাদের দিনশেষের প্রস্তুতি নিলাম। অন্ধকারের পাল্লা ভারী হতেই তাপমাত্রা ও নেমে পড়লো তরতরিয়ে। কম্বল গায়ে চাপিয়ে বসে রইলাম।
ওভারনাইট জার্নির ফলে শরীর তখন চাইছে একটু বিশ্রাম। তাই লাঞ্চ শেষ করে তড়িঘড়ি ফিরে এলাম রুমে। বিশ্রাম করে তরতাজা হয়ে গায়ে গলিয়ে নিলাম নতুন পোশাক। ঘড়িতে তখন ছ'টা। তবে আকাশে সূর্যাস্তের লেশমাত্র নেই। হালকা বৃষ্টি পড়ছে। এর মধ্যেই আমরা বেরিয়ে পড়লাম সাইটসিইং এ। নাগ্গর ছোট গ্রাম। তাই ঘুরে দেখার বিশেষ কিছু নেই। তবে যদি শান্তি,নিস্তব্ধতা আর পাহাড়ি সৌন্দর্য ভালোবাসেন তাহলে নাগ্গর আপনাকে দেবে পরিপূর্ণ স্নিগ্ধতা অবিরাম চমক আর অখন্ড নির্জনতা। সে টানেই হয়তো নাগ্গরকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন রুশশিল্পী নিকোলাস রয়েরিখ। স্থায়ীভাবে থেকে গিয়েছিলেন এখানে। তার ছেলে প্রথম দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারপ্রাপ্ত আমাদের চিত্রশিল্পী মহানায়িকা, দেবিকারানির সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এই আর্ট গ্যালারিতে কেবলই পিতা পুত্রের আঁকা ছবি রয়েছে। আমাদের প্রথম দিনের সাইট সিংয়ে দ্বিতীয় ধাপ হল 'যেমন খুশি ভ্রমণ'। ইচ্ছেমতো খানিকক্ষণ উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে একটি স্থানীয় মন্দির দেখে ফিরে এলাম ক্যাসেলে। ঘড়িতে তখন রাত আটটা। অথচ বাইরে সূর্য ঝলমল -দিনের আলো। তবুও আমরা আমাদের দিনশেষের প্রস্তুতি নিলাম। অন্ধকারের পাল্লা ভারী হতেই তাপমাত্রা ও নেমে পড়লো তরতরিয়ে। কম্বল গায়ে চাপিয়ে বসে রইলাম।
আমাদের ঘরটা ছিল একদম কোনায়। ঘরের পরেই বাইরের দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড় যা অন্ধকার নামার সাথে তাল মিলিয়ে হয়ে উঠেছে আরো গম্ভীর, আরো নিস্তব্ধ। কম্বল গায়ে চাপিয়ে ঘরে যখন বসে সময় কাটাচ্ছি তখন সেই নিস্তব্ধতা খানখান করে হঠাৎ শুরু হল গুলির আওয়াজ। হ্যাঁ,বাজি নয়। সত্যিকারের গুলির আওয়াজই বটে। কিন্তু কি হলো এই শান্ত উপত্যকায়? আমরা দুজনেই হতবাক। অতি সন্তর্পনে বিছানা ছেড়ে নেমে দরজা খুললাম। কাঠের উপর পাপড় পেয়ে গায়ে কাটা দেওয়া ধুপ-ধুপ আওয়াজ। দরজা খুলতেই আতকে উঠলাম দুজনে। সহস্যে হাতে চিকেন তন্দুরি আর রুটি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ওয়েটার। গুলির তাণ্ডবে ভুলেই গেছিলাম যে এরই মধ্যে আমরা ডিনার অর্ডার করেছিলাম। মেয়েটার ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম ওটা সত্যিই গুলির আওয়াজ।তবে ভয়ের নয়,আনন্দের। দূরে কোন একটি গ্রামে বিয়ে বাড়ি ছিল। পাত্রপক্ষ আজ তাদের বৌমাকে নিয়ে ঘরে ফিরছে। আনন্দে তাই শূন্যে গুলি বর্ষন চলছে - অনেকটা আমাদের এখানে বাজে ফাটানোর মত আর কি। ফাঁকা পাহাড় শ্রেণীতে সেই গুলির শব্দই প্রতিফলিত হচ্ছে। এবার কিছুটা ভয় মুক্ত হয়ে বারান্দায় এলাম। কি অপূর্ব সৌন্দর্য! প্রতিটি পাহাড়ের প্রতিটা খাজে আলো জ্বলছে বাড়িগুলোতে - যেন আজ দীপাবলি। মনে করতে চেষ্টা করলাম সদ্য পরিণীতা মেয়েটির কথা। ও কোথায় যাচ্ছে? গুলির আওয়াজ এ কি ওর ভয় লাগছে? অনামিকার নবজীবনের শুভেচ্ছা, মনে মনে কামনা করে আশেপাশের চোখ বুলালাম এবার। না যদিও HPTDC প্রতিটি ঘরই টুরিস্টদের থাকার জন্য খুলে দিয়েছেন, তবে সেই রাতে আমার দেখা প্রতিটি ঘরে ছিল অতিথিশূন্য। ঢুকে পড়লাম নিজের ঘরে, ঠান্ডা তখন দু° বা 3°। কম্বলের ভেতর ঢুকতে ঢুকতে চোখ আটকে গেল ছাদে। সুন্দর বার্নিশ করা কাঠ। হঠাৎ দেখলাম কোন ভূমিকা বা উপসংহার ছাড়া সুদৃশ্য বার্নিশ করা কাঠে পাঁচটি আঙ্গুলের কালো ছাপ। বুঝতে পারলাম প্রায় জনশূন্য এই ক্যাসেলে এত ঠান্ডায় এই হাতের ছাপ দেখে মেরুদণ্ড দিয়ে বয়ে গেল ঠান্ডা হিমেল স্রোত। গল্পে আড্ডায় রাত আর দীর্ঘায়িত না করে ডিনার করে শুয়ে পড়লাম আমরা। শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম যে কোন রহস্য রোমাঞ্চময় অতিলৌকিক কাহিনীকে এই ক্যাসেলের কাহিনী হার মানাবে যদি এরকম আরো বৃত্তান্ত সংগ্রহ করা যায়। তবে বাস্তবে যে এই ক্যাসেল হন্টেড নয়, তার প্রমাণ এই নির্জন জায়গায় নির্জনতম রাত্রিবাস করে আসা আমরা। পরের দিন ক্যাসেলটা ভালো করে ঘুরে দেখব- এই অভিপ্রায় মনে নিয়ে কখন জানি ঘুমিয়ে পড়লাম। কি জানতো যে পরদিন সারাদিন ক্যাসেল ঘোরার শেষ অভিজ্ঞতাটি আরো রোমহর্ষক হবে! শেষ কথা বলার আগে এই রোমহর্ষক স্মৃতিচারণটি করে নিতে চাই।
একটা মিউজিয়াম খুঁজে পেলাম। এরো সাইন অনুসরণ করে মিউজিয়ামটি খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। যাইহোক,সিঁড়ি দিয়ে যখন নামছি তখন মানুষ বলতে আমরা দুজন- আমি ও আমার হাজবেন্ড। যতই নিচে নামতে লাগলাম, সিঁড়ি ততই শুরু হয়ে গেল। এবার দুজন পাশাপাশি আর হাঁটা যাবে না। অগতা আমার স্বামী প্রথমে কিছুটা এগিয়ে দিয়ে আমাকে ইশারায় ডাকলেন। কাঠের বাড়িতে কাঠের সিঁড়িতে তখন জুতোর শব্দ ছাড়া আর কোন আওয়াজ নেই। নিচে যখন নামলাম তখন সেখানে গারো অন্ধকার। অন্ধকারের চোখ একটু অভ্যস্ত হলে দেখতে পেলাম দুটি ঘর -একটি কিং- স্যুইট অর্থাৎ রাজার বাসস্থান।সেটি তালাবন্ধ। অপর ঘরটি হল মিউজিয়াম। 'মিউজিয়াম' শব্দটার সাথে আমাদের স্মৃতিতে জড়িয়ে থাকে বিভিন্ন পৌরাণিক জিনিসের সযত্ন রক্ষণ ও প্রদর্শন। কিন্তু ক্যাসেলের মিউজিয়ামকে সেই পংক্তিতে ফেললে হোঁচট খেতে হবে মিউজিয়াম বলতে একটা সাধারণ ঘর। তাতে বসানো আছে চারটি মানুষের মূর্তি যারা বিভিন্ন সংসারিক কাজে মগ্ন। মূর্তিগুলির কোনটা বসে কোনটা বা দাঁড়িয়ে। তবে যা দেখে হার হিম হয়ে গেল তাহলে বসে থাকা মূর্তি। এটা কি মূর্তি? নাকি কোন মূর্তি রূপী মানুষ? মনে হচ্ছে আমাদের সব কথা শুনছে, এই বুঝে আজ বোঝা চোখ তুলে তাকাল। আশেপাশে কেউ নেই। আবার সেই সরু সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে হবে। উফ আর পারছি না এ ছায়া মানবের সামনে দাঁড়াতে। এলোপাথাড়ি ছুটে সিঁড়ি বেয়ে উঠে পড়লাম দুজনে। বুকটা ধরফর করছিল। তাহলে কি নাগ্গর ক্যাসেল হন্টেড?
আসলে তা নয় এটা নির্জনতম জায়গায় ব্যাখ্যাতীত নির্জনতায় কোন এক স্থাপত্যশিল্পীর প্রশংসাতীত এক সুন্দর ভাস্কর্য। ক্যাসেলটি আসলে রাজা বীর সিংহের বানানো। নাগ্গর এ ক্যাসেল বানানোর তাৎপর্য হলো এত উঁচু থেকে হিমাচলের রাজা পুরো প্রদেশের উপর নজর রাখতে পারতেন। নাগার ক্যাসেল তৈরি হয় ১৪৬০ সালে। কিন্তু ১৯৪৬ সালে ইংরেজদের কাছে মাত্র একটা বন্দুকের মূল্য হিসাবে দিয়ে দিতে হয় এই ক্যাসেলটি। ২০১২ সালে এই ক্যাসেলটি হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি পেয়েছে। ক্যাসেলটি পুরো কাঠের তৈরি। কারুকার্য হিন্দুরীতির।অতি সূক্ষ্ম ও সুন্দর। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে ক্যাসেলের ক্ষতি না হয় সেজন্য কাঠের শৈলির মাঝে মাঝে 'হলো এফেক্ট' করা আছে। অর্থাৎ দুটি কাঠের মাঝের ফাঁপা অংশে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ভরা আছে নির্দিষ্ট আকৃতির পাথরের টুকরো। ক্যাসেলে আছে একটা মন্দির। কথিত আছে এই মন্দিরের বেদিতে রাখা কাষ্ঠ খন্ডে ভগবান বিষ্ণু আসিন হন আর নবরাত্রিতে সব দেবতারা যান কুলু পরিক্রমায়।
বিকেলে পাশের ছোট সুদর্শন কেক শপ থেকে নিলাম এক টুকরো ডার্ক চকলেট কেক উইথ এক্সট্রা চিজ আর দুটো ক্যাপুচিনো। উল্টো দিকের পাহাড়ে তখন রুপালি তুষারের ঢাকনা।
যাওয়ার বেলা ঘনিয়ে এলো। পরদিন সকালে নাগ্গর থেকে নিচে নামতে নামতে থমকে গেলাম একটি জায়গায়। ট্রাউট ফিশ - একটি লোকাল মাছের চাষ হচ্ছিল সেখানে। আমরা আর দেরি না করে ওজন করে দুটি ট্রাউট ফিস ভেজে খেয়ে নিলাম। অতুলনীয় সেই স্বাদ। চলে এলাম খানিকটা নিচে। মনের যদি হাত থাকতো তাহলে সে হাত দিয়ে তখন জড়িয়ে রেখেছি শেক্সপিয়ারের 'দ্যা গ্রিশিয়ান আর্ন'।বাস চলছে।নাগার ডাকছে।
0 comments:
Post a Comment